Saturday 28 May 2016

অন্ধ মেয়ে ১


মহিলার হাতের উপর দিয়ে কেন যেয়ে তার দুধে মৃদু ধাক্কা লাগল। নড়েচড়ে উঠল মহিলা।

অনেক্ষণ হল ভ্যানের জন্য দাড়িয়ে রয়েছি কিন্তু কোন ভ্যানের খোজ নেই। কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে এক পশলা আকাশও এখনও গম্ভীর। মোবাইলের স্ক্রিনে টাইম দেখলাম ১০টা ১৭। এত রাতে বাজারে কোন ভ্যান নেই। বৃষ্টি না হলে থাকত। কি আর করা। হাটতে লাগলাম। খালার ঔষধ কিনতে এসেছিলাম আসার সময় যদিও ভ্যান পেয়েছিলাম কিন্তু এই মুহুর্তে বাজারে যেমন কোন ভ্যান নেই তেমনি ঔষধের দোকান ছাড়া একটা ছোট্ট চায়ের এই দুটো ছাড়া অন্য কোন দোকানও খোলা নেই।বাধ্য হয়ে হাটা শুরু করলাম মাটি দিয়ে বৃষ্টির গন্ধ বের হচ্ছে। আবার টিপটিপ করে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একটু জোরেই হাটা শুরু করলাম গার্ল্স স্কুলের কাছা কাছি আসতে না আসতেই একটু জোরে শুরু হয়ে গেল।
বাধ্য হয়ে দ্রুত পাশে একগাছের নিচে দাড়ালাম আশপাশে কোন দোকানপাটও নেই বড় শিশু গাছ কিন্তু ছাট এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল।বাধ্য হয়ে পকেটের সিগারেট আর ম্যাচ বের করে গাছের বিপরীত প্রান্তে গেলাম সিগারেট ধরিয়ে টানতে টানতে ভাবলাম কিছুক্ষণের মধ্যে না থামলে জাখালা খুলে শুধু লুংগি পরা অবস্থায় দৌড় দেব। ওদিকে বাড়ীতেও খালা ছাড়া আর কেউ নেই। তাই বাড়ীতে তাড়াতাড়ি যাওয়ার তাড়া ছিল। মনোযোগটা বিড়ির দিকেই ছিল কিনতু হঠাৎ স্কুলের গেটটা খুলে যাওয়ার শব্দে তাকালাম সেদিকে। অন্ধকারে মনে হলো একজন মহিলা আর ১০/১২ বছরের একটা বাচ্চা জোর করে বের করে দেওয়া হল। বাচ্চাটির হাত ধরে মহিলা এই শিশুগাছের দিকেই আসছে।আমার পাশেই দাড়াল। বৃষ্টির আচ আরো বেড়ে গেল। বাধ্য হয়ে জাখালা খুলে মাথায় দিলাম। গোটমোট হয়ে তারাও সরে আসল আরো গাছের কাছে।এতক্ষণে খেয়াল করলাম ৩০/৩৫ বছরের মহিলা। আর খালি গায়ে বাচ্চাটা। কি হয়েছে রে খুকি তোদের বের করে দিল কেন কে আপনি খুকির উত্তর দেওয়ার আগেই মহিলা জিজ্ঞাসা করল তার শব্দে কেমন যেন একটা আতঙ্কের ছোয়া। এই তো আমার বাড়ী বাজারের ঐ পাশে। আর বলেন না বাবাজি ভিক্ষা করে খায় রাতে শোব বলে বাচ্চাটাকে নিয়ে ঐ স্কুলের ভিতরে গিয়েছিলাম বারান্দায় শুয়েও ছিলাম কিন্তু বের করে দিল। কেন আপনি ভদ্র লোক আপনাকে বলতে আপত্তি নেই। ঐ বেটা দারোয়ান লোকটা ভাল না। আর কিছু জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হল না কখন বৃষ্টি থামবে সেই আশাতে সিগারেটে টানদিয়ে চলেছি কিনতু বৃষ্টি থামার কোন লক্ষই দেখা যাচ্ছে না। বাচ্চাটি কি তোমার মেয়ে বিদ্যুতের ঝলকে আদুল গায়ের লিকলিকে মেয়েটাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলাম। মেয়ে পাব কনে বলেন অন্ধ মেয়ে ছেলেকে কে বিয়ে করবে মানে আপনি অন্ধ হ্যা চোখ দুটো জন্মের সময় ছিল কিনতু ছোটকালে বসন্ত হয়ে চোখদুটো গেল। তাহলে এটা কেআবার বিদ্যুত চমকালো ছোট বাচ্চাটি গুটিসুটি মেরে সরে আসল গাছের দিকে। আমার ভাইজি হয়। ও। বৃষ্টি কমার কোন লক্ষনই দেখতে পাচ্ছি না ওদিক খালার জন্য চিন্তা হচ্ছে। মোবাইলে আবার সময় দেখলাম ১১ টা পার হয়ে গেছে। হঠাৎ খুব কাছে বাজ পড়ল। বাচ্চাটি ভয়ে চুপসে গেল সরে আসল আমার দিকে। তার ফুফুও ভাইজির সাথে সাথে সরে আসল। এই পাশে ডাল থাকায় বৃষ্টির পানি ঝাট ছাড়া লাগছে না গায়ে। বৃষ্টি থামার কোন লক্ষ্মন দেখা যাচ্ছে না। বিরক্ত হয়ে পড়ছি। হঠাৎ আবার বাজ পড়ল এবার যেন খুব কাছে। বাচ্চাটা প্রায় আমার কোলে এসে পড়ল। তার চাচীও সরে আসল। হঠাৎ কেনই যেন নরম কিছু ঠেকল। তাকালাম পাশে। মহিলা আর আমার মধ্যে চার আংগুলের ফারাক। আমার কেন তার দুধে লেগেছে। অত্যন্ত নরম স্বাভাবিকের চেয়ে। এবার ইচ্চা করে কেন এগিয়ে দিলাম। মহিলার হাতের উপর দিয়ে কেন যেয়ে তার দুধে মৃদু ধাক্কা লাগল। নড়েচড়ে উঠল মহিলা। আবার দিলাম এবার একটু বেশি চাপ। চল খুকি দুনিয়ার সব লোক একরকম। এখনও পর্যন্ত আমার মাথায় অন্য কোন চিন্তা ছিল না কিন্তু মহিলার বিদ্রুপ যেন আমাকে জাগিয়ে তুলল। দাড়িয়ে গেছে মহিলা। ডাক্তার দেখিয়েছ কোন সময় এখনত চোখ ভাল হয়ে যায়। বুজলাম তার মনে ধাক্কা লেগেছে। আবার বসে পড়ল। বাচ্চাটি উঠতে উঠতে যাচ্ছিল আবার বসে পড়ল। সত্যি বলছেন ভাল হয়ে যায়।হ্যা আমাদের বাড়ীর পাশেত একজনের হয়েছে। বিশ্বাস না হয় ডাক্তারের কাছে যাও।কিনতু ডাক্তার কি আমার মত গরীব লোককে দেখবে।অবশ্যই দেখবে। পাশের জেলায় মিশন হাসপাতাল আছে ওখানে চলে যাও। ওদের ওখানে ধনিগরীব নেই।ভাই আপনি আমার আপন ভাই আমার একটু যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। আমি সারাজীবন আপনার বান্দি হয়ে থাকব।আচ্চা ঠিক আছে। মহিলা ইতিমধ্যে আমার অনেক কাছে সরে এসেছে। তার গা এখন আমার গায়ে লেগে রয়েছে। আবার দুধের ছোয়া লাগল। তোমার বিয়ে হয়েছে কাঁনাকে কে বিয়ে করবে কত বয়স তোমার মুজিবর যেবার রাজা হল তার দুবছর পরে আমার জন্ম। মনে মনে হিসাব করে দেখলাম।তাহলে তো খুব বেশি না। চোখ ভাল হয়ে গেলে তুমি বিয়েশাদী করে জীবন পাল্টিয়ে ফেলতে পারতে। আপনি মিথ্যা কথা বলছেন আমাকে বোকা ভেবে মিথ্যা বলছেন।তোমাকে মিথ্যা বলে আমার কি লাভ বল চোখে রেটিনা নামে একধরনের জিনিস থাকে। যাদের রেটিনা নষ্ট তার দেখতে পায় না। মানুষ মরে গেলে তার রেটিনা অন্যের চোখে লাগিয়ে দিলে চোখ ভাল হয়ে যায় মহিলা যেন আরো সরে আসল আমার দিকে। আস্তে আস্তে ডান হাতটা বাড়ালাম অন্ধকারে রাখলাম মহিলার উদ্ধত দুধের পরে।সরে গেল এক নিমেষে।কি করছেন ভাই। আমি অসহায় বলে সুযোগ নিচছেন। এই খুকি চল আমার চোখ ভাল হওয়ার দরকার নেই।তোমার ইচ্ছে। কাল আমি যাব পাশের জেলায় ইচছা হলে যেতে পার আমার সাথে।চুপচাপ বসল কিনতু বেশ দুরুত্ব রেখে। অপেক্ষা করলাম আরো দুই এক মিনিট। তোমার এত বড় উপকার করবো তোমারতো উচিৎ আমাকে কিছু দেওয়া। নাকি বলআমি গরীব অন্ধ ফকির কি দেব আপনাকেতবে দোয়া করি যেন ভাল থাকেন।শুধু দোয়ায় কাজ হয় না আরো অনেক কিছু দিতে হয়।আমার তো টাকা পয়সাও নেই যে আপনাকে দেব তাহলে কি দেবআগে তোমার চোখ ভাল হোক তারপরে দিও।আবার হাত বাড়ালাম পুর্ণ হাত রাখলাম দুধের পরে নড়বসল কিনতু উঠল না মোলায়েম দুধ।কালকেই চল আমার সাথে আমার


No comments:

Post a Comment